মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গোসলের ভুলেও হয় ত্বকের সমস্যা…..?

গোসলের ভুলেও হয় ত্বকের সমস্যা…..?

স্বদেশ ডেস্ক: তাড়াহুড়োর কারণে অনেক সময় গোসলে থাকে না যতেœর ছোঁয়া। তড়ি-ঘড়ি গোসল করলে যেমন তৈলাক্ত ত্বকের ঘাম-ময়লা পরিষ্কার হয় না, তেমনই জীবাণু বেড়ে সূত্রপাত হতে পারে চর্মরোগের৷ তাই গোসলের মূল যতœটুকু বাদ দিয়ে শুধুই জীবাণুনাশক সাবান মেখে গোসল করলে বাড়ে বিপদ৷ ত্বক রুক্ষ হলে বার বার গোসল করলেও সমস্যা ৷ সমস্যা হয় গায়ের জোরে ঘষে ঘষে ময়লা, জীবাণু দূর করলে৷ কারণ অপকারীদের সঙ্গে কিছু উপকারী জীবাণু ধুয়ে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে৷ খুব রগড়ে গোসল করলে, গায়ে যে সূক্ষ্ম আঁচড় পড়ে, জীবাণু সেই ছিদ্রপথে ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে৷ বেশি ঘষাঘষিতে ত্বকে পড়ে অকাল বলিরেখাও।
‘‘মধ্যম পন্থা ছাড়া গতি নেই৷ শুষ্ক থেকে স্বাভাবিক ত্বকে দিনে দু’–এক বার গা ধুতেই পারেন। ঠান্ডার ধাত না থাকলে গোসল করুন৷ তৈলাক্ত ত্বকে আর এক-আধবার বাড়ানোও যেতে পারে৷ শরীরকে যে ভাবেই পরিষ্কার করুন না কেন, গোসলের কিছু নিয়মকানুন না মানলে কিন্তু সমস্যা বাড়ে।’’ জানালেন ত্বকবিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ী।
গোসলের জল: বেশি গরম জলে করলে ত্বক-চুল শুকিয়ে যায়৷ কম বয়সে বলিরেখাও পড়তে পারে৷ কাজেই ঈষদুষ্ণ জলে গোসল করুন৷ হালকা গরমে রক্তসঞ্চালন ভাল হবে৷ তরতাজা লাগবে৷ খর জলে গোসল করলে চুল লালচে, নির্জীব হয়ে যেতে পারে৷ ত্বকে আসতে পারে কালচে ভাব৷ সে ক্ষেত্রে জলে বাথ সল্ট মেশান৷ জল মৃদু হবে, ত্বকও পরিষ্কার হয়ে ত্বকের আর্দ্রতা থাকবে ঠিকঠাক৷ তবে নিয়মিত ব্যবহারে স্পর্শকাতর ত্বকে লাল ছোপ পড়তে পারে৷ ত্বক রুক্ষ হয়ে ফেটে যেতে পারে৷ রং-গন্ধে অ্যালার্জিও হয় অনেকের৷ বাথ অয়েলও তাই৷ এমনিতে ভাল৷ তবে রং-গন্ধ ও ডিটারজেন্ট থেকে স্পর্শকাতর ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে৷ তাই বাথ সল্ট বা বাথ অয়েল ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গোসলের সাবান: স্পর্শকাতর ত্বকে রং-গন্ধওয়ালা সাবানে সমস্যা হতে পারে৷ বেবি সোপেও অনেক সময় হয়৷ সে ক্ষেত্রে মাখুন গ্লিসারিন সাবান বা সোপ ফ্রি সোপ৷ তরল সাবানে অ্যালার্জি হলে সেটাফিল ক্লিনজিং লোশন বা অ্যাকোয়াডার্ম লিকুইড সোপ মেখে দেখুন৷ শাওয়ার জেলের মধ্যে সোপ ফ্রি জেল মোটামুটি নিরাপদ৷
ঘামাচি, ঘামের গন্ধ বা ত্বকের সমস্যায় দিন কয়েক মেডিকেটেড সোপ মাখতে পারেন৷ নিয়মিত মাখলে অ্যালার্জি বাড়তে পারে৷ ব্রণ হলে জীবাণুনাশক সাবানে বার বার মুখ ধুলে ব্রণ কমার বদলে বাড়ে৷ অন্য চামড়ার রোগেও সাবান কম মাখা ভাল৷ দিনে দু’বারের বেশি সাবান মাখবেন না৷ হালকা করে ঘষে মাখুন৷ ময়লা-তেল-কালির সঙ্গে মরা কোষ দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে৷ ফোম বাথের শখ হলে সোডিয়াম লরিল সালফেট রাসায়নিকের দু’-এক ছিপি দিয়ে বাথটবে জল ভরুন৷ তাতে গা ডোবালে তেল-কালি-জীবাণু যেমন ধুয়ে যাবে। দূর হবে স্ট্রেস৷ এর পর পরিষ্কার জলে গা ধুয়ে নিন৷ তবে ফোম বাথের ফেনা থেকে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে মেয়েদের যৌনাঙ্গে বা মূত্রনালীতে সমস্যা হতে পারে৷
তেল: তৈলাক্ত ত্বকে দরকার নেই৷ শুষ্ক বা সাধারণ ত্বক হলে শীতকালে লাগবে তেলের ছোঁয়াচ৷ তবে আবহাওয়া উষ্ণ ও বায়ুতে আর্দ্রতা বেশি হলে তেল মাখার কারণে ঘামাচি বা ফোড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তেল লাগান গোসলের পর৷ ত্বক বহু ক্ষণ সজীব থাকবে এতে৷ মালিশের সময় না থাকলে গোসলের জলে মিশিয়ে নিন৷ তারপর নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিলেই হবে৷
স্পর্শকাতর ত্বকে গন্ধহীন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন৷ ভিটামিন মেশানো বা ওষধি তেল মেখে কোনও লাভ নেই৷ তেল মেখে রোদে বসে থাকলে ত্বক পুড়ে যেতে পারে৷ জন্ম হতে পারে অকাল বলিরেখারও। তাই এই বিষয়টি এড়িয়ে চলুন৷ গোসলের সময় এ ক’টা বিষয় মাথায় রাখলেই শরীর পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে ত্বকের সমস্যাও মিটবে, জীবাণুর হানা রুখে দেওয়াও আরও সহজ হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877